ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে শেষ পাঁচটি ম্যাচ মিস করেছেন। প্রথম দুই ম্যাচে কলকাতা তার পরিবর্তে টিম সাউদি এবং টিম সেফার্টকে নিয়ে আসে। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় সাকিব আল হাসানকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।





শেষ তিন ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিংয়ের নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে রাসেলের অভাব বুঝতেই দেননি সাকিব। এই তিন ম্যাচেই সহজ জয় পেয়েছে কলকাতা। সবশেষ সোমবার রাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে হারিয়ে পেয়েছে কোয়ালিফায়ার ম্যাচের টিকিট।





এলিমিনেটরের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান খরচ করেছেন সাকিব। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে চাপের মধ্যেই ৬ বলে ৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। তাই কলকাতার সাবেক অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর মনে করেন, সাকিব থাকতে এখনই রাসেলের প্রয়োজন নেই দলটিতে।





চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরতে মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছেন রাসেল। এরই মধ্যে কলকাতার নেটেও দেখা গেছে তাকে। তবে পুরোপুরি ফিট অর্থাৎ ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংও করতে পারলেই কেবল রাসেলকে দলে চান গম্ভীর। অন্যথায় রাসেলের কাজ করে দেয়ার জন্য সাকিব আছেন বলে মনে করেন কলকাতার দুইবারের শিরোপাজয়ী অধিনায়ক।





ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে বিশেষজ্ঞ আলাপে গম্ভীর বলেছেন, ‘রাসেলকে শুধু তখনই দলে নেয়া হোক, যখন যে পুরোপুরি ফিট হবে। অন্যথায় আপনার কাছে সাকিব আছেই কাজ করে দেয়ার জন্য। বিশেষ করে এমন সব উইকেটে যেখানের আচরণ ভারত-বাংলাদেশের মতোই। সাকিব খুব ভালোভাবে জানে এখানে কীভাবে বোলিং করতে হয়।’





এসময় কলকাতার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ও দলীয় পরিকল্পনারও প্রশংসা করেছেন গম্ভীর। তিনি মনে করেন, বোলিংয়ে পূর্ণাঙ্গ পাঁচ বোলারের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও এখন বেশ গভীরতা রয়েছে কলকাতার। সাকিবকে সাত নম্বরে নামানোকেও ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন গম্ভীর।





তার ভাষ্য, ‘আপনার দলে যখন পাঁচজন বিশেষজ্ঞ বোলার থাকে, তখন এমনিই ভারসাম্য চলে আছে। আপনার তিনজন কোয়ালিটি স্পিনার আছে, দুজন গতিময় পেসার আছে। পাশাপাশি ষষ্ঠ বোলার হিসেবে নিতিশ রানা, ভেঙ্কটেশ আইয়াররাও আছেন। এছাড়া সাত নম্বরে সাকিব থাকা মানে ব্যাটিংটাও পরিপূর্ণ আছে।’