
ব্যাঙ্গালের হয়ে এই আসরের পরই অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। তাই শেষটা চেয়েছিলেন অন্তত ১৪ বারের বেলায় একটা ট্রফি দলকে এনে দিতে। কিন্তু আরও একবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন চূর্ণ হলো বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর।





বরাবরই তারকাসর্বস্ব দল নিয়ে ট্রফি ছুঁতে না পারা ব্যাঙ্গালুরু এবারও ফিরছে আক্ষেপ নিয়ে। শারজায় আজ প্রথম এলিমিনেটরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে ৪ উইকেটে হেরে প্লে-অফেই থেমেছেন কোহলিরা।





সাকিব আল হাসানের কলকাতা এখন ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে খেলবে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। ম্যাচটিতে বোলাররাই মূল কাজ করে দিয়েছেন কলকাতার। সুনীল নারাইন, সাকিব, বরুণ চক্রবর্তীদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনেই একরকম ম্যাচ হেরে বসেছিল আরসিবি।





কেননা তাদের দারুণ বোলিংয়েই মাত্র ১৩৯ রানের লক্ষ্য পায় কলকাতা। ব্যাঙ্গালুরু শেষ ওভার পর্যন্ত চেষ্টা করেও জয় আটকাতে পারেনি মরগ্যানদের। হারের পর ম্যাচ শেষে বিরাট কোহলিই তাই সাকিব-নারাইনদের প্রসংশা করতেও কার্পণ্য করেননি। ম্যাচ পরবর্তী প্রেজেন্টেশনে কোহলি বলেন, ‘নারাইন সবসময় কোয়ালিটিফুল বোলার, আর আজ সে সেটা আবার দেখে দিয়েছে। মূলত, নারাইন, সাকিব ও বরূন দারুণ বোলিং করেছে।





তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণেই আমরা চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। যেকারণে শেষের দিকে আমাদের ব্যাটাররা বড় শট খেলতে পারেনি।’





উল্লেখ্য, এদিন ব্যাঙ্গালোর শিবির একাই ধসিয়ে দেন নারাইন। একদিক থেকে সাকিব, বরুন চাপে রাখেন ব্যাটারদের। অন্যদিকে একের পর এক উইকেট তুলতে থাকেন নারাইন। ৪ ওভার বোলিংয়ে ২১ রানে ৪ উইকেট নেন এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। সাকিব ২৪ রান খরচায় কোন উইকেট পাননি।





তবে ব্যাট হাতে ৬ বলে ৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জেতান সাকিব।