
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মুস্তাফিজ ঝলকের পরও রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।





নির্ধারিত ২০ ওভারে রাজস্থান রয়্যালসের ১৪৯ রানের জবাবে ১৭ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় পায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
বল হাতে দারুণ পারফর্ম করেও রাজস্থান রয়্যালসকে উদ্ধার করতে পারলেন না মুস্তাফিজুর রহমান।
রয়্যালসের দামি বোলার ক্রিস মরিসের খরুচে বোলিংয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ল রাজস্থান। তবে নতুন খবর হচ্ছে, ক্রিস মরিসের পারফর্ম্যান্স হতাশ করেছে রাজস্থান রয়্যলসের টিম ম্যানেজমেন্টকে। দলটির প্রধান কোচ কুমার সাঙ্গাকার বলছেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেনি মরিস।





আইপিএলের এবারের আসরে মরিস রাজস্থান রয়্যলসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার, এমনকি আইপিএলেরও। তাই তার কাছে প্রত্যাশাটাও একটু বেশি। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার সেই প্রতিদান দিতে ব্যার্থ এই প্রোটিয়া অলরাউন্ডার।





এবারের আসরে প্রথম পর্বে ভালো শুরু করলেও সেই ফর্ম টেনে আনতে পারেননি আরব আমিরাত পর্বে। এই পর্বে ব্যাট-বল দুই জায়গাতেই ব্যার্থ হয়েছেন তিনি। আসরে এখনও পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলে শিকার করেছেন ১৪ উইকেট যেখানে তার ইকোনোমি ৯.৪০। আর ব্যাট হাতে ১০ ম্যাচে করতে পেরেছেন মোট ৬৭ রান।





তার এই অফফর্ম ভাবাচ্ছে রাজস্থান টিম ম্যানেজমেন্টকে। বুধবারের (২৯ সেপ্টেম্বর) ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে তার কোটার শেষ ওভারে দিয়েছেন ২১ রান। সাঙ্গাকারা মনে করছেন, এখানেই জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়নি তাদের।





তবে মোস্তাফিজ প্রসঙ্গে দিয়েছেন ভিন্ন সুর মোস্তাফিজের প্রশংসায় সাঙ্গাকারা বলেন, দলের একমাত্র নিয়মিত পারফর্মার বোলার ছিলেন মোস্তাফিজ। নিখুঁত লাইন-লেংথ আর স্লোয়ার-কাটার তো নিয়মিতই দেখা যায়। সঙ্গে যোগ হলে দারুণ কিছু ইয়র্কারও।
ইদানিং সাথে কিছু অসাধারণ ফিল্ডিং দক্ষতাও যোগ হয়েছে তার। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত বোলিং উপহার দিয়ে যাচ্ছেন মুস্তাফিজুর রহমান। মুস্তাফিজ সবসময়ই দলের জন্য নিবেদিত আছে এবং আগামী ম্যাচ গুলোতেও তাকে নিয়ে রাজস্থান টিম ম্যানেজম্যান্ট আশাবাদী।





মরিস প্রসঙ্গে সাঙ্গাকারা আরো বলেন, ‘আসরের প্রথম পর্বে দারুণ পারফর্ম করেছিল মরিস কিন্তু আরব আমিরাত পর্বে সে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারছে না। সে নিজেও এটা বুঝতে পারছে। চার ওভারে ৫০ রান দিয়েছে, তার শেষ ওভার ছিল টার্নিং পয়েন্ট এবং আমরা সেখানেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েছি।’





পরবর্তী ম্যাচে আমরা ভেবে-চিন্তে একাদশ সাজাব। প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা বিচার করেই ক্রিকেটারদের একাদশে রাখা হবে।’