নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তান সফর বাতিল করার পর পিসিবি বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়েতে আশ্রয় চেয়েছিল। যাইহোক, বিসিবি তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়নি তবে আপাতত বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে দ্বিতীয় স্তরের দল পাঠাতে চেয়েছিল।
অদৃশ্য হুমকি পেয়েই পাকিস্তানে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। তাঁদের দেখানো পথে হেঁটেছে ইংল্যান্ডও। কীভাবে, কোথায় থেকে এলো এই হুমকি সেই বিষয়ে জানতে চাইলেও পিসিবির কাছে খোলাসা করে কিছুই জানায়নি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। টানা দুটি সিরিজ স্থগিত হওয়ায় পাকিস্তানে ফের ক্রিকেট ফেরানোর যে পরিকল্পনা ছিল সেই কষ্ট ভেস্তে গেল পিসিবির।
অবশ্য পাকিস্তান যে ক্রিকেটের জন্য নিরাপদ সেটি প্রমাণ করতে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের দারস্থ হয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পিসিবি থেকে জানানো হয় পাকিস্তানের এই কঠিন সময়ে দুই দলই রাজি হয়েছিল। এমনকি বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশের ব্যস্ত সূচি থাকলেও দ্বিতীয় সারির দল পাঠাতে চেয়েছিল বিসিবি। এই সময় তিনি বাংলাদেশের এমন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। এক ভিডিও বার্তায় রমিজ রাজা বলেন,
“পাকিস্তান ক্রিকেট যেমন আছে তেমন ভাবেই চলতে থাকবে, বেঁচে থাকবে। এইখানে ক্রিকেটের উৎসব আবারো ফিরবে। হ্যাঁ, আমাদের হাতে অপশনও ছিল- জিম্বাবুয়ে আসার জন্য প্রস্তুত ছিল, বাংলাদেশও তাঁদের দ্বিতীয় সারির দল পাঠাতে প্রস্তুত ছিল কিন্তু এই মুহূর্তে মরিয়াভাবে কোন কাজ করতে চাই না।”
নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সিরিজ বাতিল হওয়ায় বড় অঙ্কের টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে পিসিবিকে। শুধুমাত্র নিউজিল্যান্ড সিরিজ বাতিল হওয়াতে ১৩ কোটি টাকা লোকসান গুণতে হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি)।