সেমি ফাইনালের ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুই শক্তিশালী দল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স ও সেইন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস। দুই দলের মা’রকা’টারি ব্যাটিংয়ে দুই ইনিংস মিলে ৩৫৯ রানের চার ছক্কার ম্যাচ দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। দুয়ারে কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
তার আগে রয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকে’টের খেলা। কুড়ি ওভারের ক্রিকে’টের এ দুই টুর্নামেন্টের আগে রীতিমতো আগু’নে ফর্মে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি ওপেনার এভিন লুইস। ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন ক্রিস গেইলও।
এ দুই মা’রকুটে ব্যাটসম্যানের তাণ্ডবে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে উঠে গেছে সেইন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস। ম’ঙ্গলবার আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে ৭ উইকে’টের সহজ জয় পেয়েছে দলটি।
সেইন্ট কিটসের ঘরের মাঠ ওয়ার্নার পার্কে টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান করেছিলো গায়ানা। জবাবে গেইল-লুইসের ঝড়ে ১৩ বল হাতে রেখেই ফাইনালে চলে গেছে সেইন্ট কিটস। শিরোপা লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ সেইন্ট লুসিয়া কিংস।
গায়ানার করা ১৭৮ রানের জবাবে খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৭.২ ওভারেই ৭৬ রান যোগ করেন গেইল ও লুইস। কেভিন সিনক্লেয়ারের বলে আউট হওয়ার আগে ৫ চার ও ৩ ছয়ের মা’রে ২৭ বলে ৪২ রানের ঝড় তুলে যান দ্য ইউনিভার্স বস।
এরপর বাকি দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন আরেক ওপেনার লুইস। আগের ম্যাচে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৫২ বলে ১০২ রানের অ’পরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। এবারও একই পরিণতি। তবে সেঞ্চুরি করতে পারেননি।
পরপর দ্বিতীয় পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসে লুইস অ’পরাজিত থাকেন ৩৯ বলে ৭৭ রান করে। যেখানে ছিলো ৩ চার ও ৮টি বড় ছয়ের মা’র। এছাড়া অধিনায়ক ডোয়াইন ব্রাভো ৩১ বলে ৩৪ রানের ইনিংসে লুইসকে যথাযথ স’ঙ্গ দেন। সেইন্ট কিটস পায় ৭ উইকে’টের জয়।
এর আগে গায়ানাকে ১৭৮ রান পর্যন্ত নেয়ার মূল কৃতিত্ব পাঁচ নম্বরে নামা শি মর’ন হেটমায়ারের। তিনি ২ চার ও ৪ ছয়ের মা’রে খেলেন ২০ বলে ৪৫ রানের ইনিংস।
এছাড়া নিকোলাস পুরান ২৬, ব্র্যান্ডন কিং ২৭ ও চন্দরপল হে মর’াজ করেন ২৭ রান। কিন্তু তা জয়ের জন্য যথেষ্ঠ প্রমাণিত হয়নি।
আজ (বুধবার) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হবে সেইন্ট লুসিয়া ও সেইন্ট কিটস।