২০১৮ সালের পর আর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ২০১৯ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে বিশেষ বিপিএল চালু করে বিসিবি। ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারী শেষ হওয়া আসরটি ফ্রাঞ্চাইজি বাদ দিয়ে দলগুলোর স্পন্সর নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।





এরপর মহামারী করোনার কারণে আর এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারেনি বিসিবি। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের প্রথমে বিপিএল আয়োজন করতে চায় বিসিবি। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানালেন, ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক আসরটি আয়োজন করতে সময় রাখা আছে।





তবে সবকিছু নির্ভর করছে করোনাভাইরাসের পরিস্থিতির ওপর। তিনি বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে স্লট বা খেলার সময় আছে কি না। আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি- বিপিএলের স্লট আছে। তবে যেসব দেশ করোনার দিক দিয়ে নিরাপদ মনে করেছিল, তারা এখন দ্বিতীয়, তৃতীয় হয়ে চতুর্থ ঢেউ সামলাচ্ছে। সামনে কী পরিস্থিতি হবে আমরা কেউ জানি না। পরিস্থিতির ওপর সবকিছু নির্ভর করছে।’





যদিও করোনা পরিস্থিতির কারণে বিপিএল নিয়ে সঠিক কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বিসিবি। তবে তাদের চাওয়া আগামী বছরের শুরুর দিকেই বিপিএলের পরবর্তী আসর আয়োজন করা। সেক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ। যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে গত মৌসুমের মত দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজন করা হতে পারে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ।





বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা তো খেলতেই পারি। কিন্তু বাইরে থেকে যদি ভালো খেলোয়াড় না আনতে পারি তাহলে তো এটাকে বিপিএল বলা যাবে না। আমরা নিজেদের মধ্যে টুর্নামেন্ট করতে পারি। আমাদের জায়গা রাখা আছে, পরিকল্পনা আছে। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।’