টি-টোয়েন্টিতে ৯৪ রানের লক্ষ্য মামুলী। কিন্তু টপঅর্ডারে ধস হলে সেই রান পাহাড়সম লাগে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও ঠিক হয়েছিল তাই। লিটন দাসের আউটের পর পরপর ফেরেন সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিম। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা নাঈম-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহর ৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে ঐতিহাসিক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।





ব্যাটসম্যানদের কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন দুই বোলার নাসুম-মোস্তাফিজ। দুজনে তুলে নেন কিউইদের ৮ উইকেট। শুরুটা করেছিলেন নাসুম আর ইতি টানেন মোস্তাফিজ। প্রথমবার কিউইদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর পুরো দল ও দলের সঙ্গে জড়িত সবাইকে কৃতিত্ব দিলেন মাহমুদউল্লাহ। জানালেন শেষ ম্যাচেও থাকবে জয়ের প্রচেষ্টা।





ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বাংলাদেশের অধিনায়ক বললেন, ‘সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব টিম ম্যানেজমেন্ট ও সব খেলোয়াড়দের। আরও একটি সুযোগ আছে এবং আশা করি, আমরা একসঙ্গে সেটিও জয়ের চেষ্টা করব।’





বোলারদের প্রশংসা করে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডকে অল্প রানে আটকে দিতে বোলাররা দুর্দান্ত কাজ করেছে। সব বোলার বিশেষ করে নাসুম, মেহেদী, মোস্তাফিজ খুব ভালো বোলিং করেছে।’





সিরিজের সেরা উইকেট শিকারিদের মধ্যে মোস্তাফিজ ৮ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ও নাসুম ৭ উইকেট নিয়ে তৃতীয় স্থানে। শীর্ষে থাকা এজাজ প্যাটেলের উইকেটও ৮টি।





শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার জন্য প্রয়োজন ছিল একটি ভালো জুটির। নাঈমকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে সেই হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ নিজেই। নাঈমের রানআউটে সেই জুটি কাটা পড়ে ৩৪ রানে। ব্যাটসম্যানদের নিয়ে অধিনায়ক বলেন,





‘ব্যাটসম্যানরা তাদের তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। মিডল অর্ডারে আমাদের প্রয়োজন ছিল ভালো পার্টনারশিপ এবং নাঈম যথেষ্ট চেষ্টা করেছে। নাঈম খুব ভালো ব্যাট করেছে শেষের দিকে, আফিফও। আমরা ভালো জুটি গড়ে খেলা শেষের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।’