ট্রেন্টব্রিজে জয় দিয়েই ইংল্যান্ড সিরিজ সূচনা করতে পারত ভারত। তবে শেষদিনের বৃষ্টিতে ধুয়ে গিয়েছে ভারতের আশা। লর্ডসেও মোটামুটি ভারত ভালোই খেলছে। তবে ডিআরএস-এর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কোহলি একদমই নজর কাড়তে পারেননি। এতেই বেজায় খাপ্পা স্বয়ং সুনীল গাভাসকার।
বারবার কোহলি ভুলভাল ডিআরএস নেওয়ায় দলও ভুগছে। এমন অবস্থাতেই গাভাসকার সোনি স্পোর্টস নেটওয়ার্কে বলে দিয়েছেন, “একমাত্র উইকেটকিপারকেই ডিআরএস নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হোক। কারণ প্রত্যেক বোলারই ভাববে ব্যাটসম্যান নির্ঘাত আউট! একইভাবে ব্যাটসম্যানকে লেগ বিফোর দেওয়া হলে, ব্যাটসম্যান ভাবতে পারে, সে হয়ত আউট নয়। ভারতের প্ৰথম আবেদনটা বেশ কাছাকাছি ছিল।
তবে দ্বিতীয় ক্ষেত্রে পন্থ কিন্তু কোহলিকে বারবার রিভিউ না নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। তা সত্ত্বেও কোহলি রিভিউ নিল।” ইংল্যান্ডের ইনিংসের ২১ তম ওভারের ঘটনা। দ্বিতীয় দিন। সিরাজের বল আছড়ে পড়েছিল রুটের প্যাডে। স্লিপে দাঁড়ানো ফিল্ডারদের সঙ্গে আউটের আবেদন করেন সিরাজও। তবে আম্পায়ার ভারতীয়দের সেই আবেদন নাকচ করে দেন। সিরাজ কোহলিকে রিভিউ নেওয়ার জন্য আর্জি জানান। সিরাজের কথায় কোহলি রিভিউ নিতেই সমস্যা।
দেখা যায় অফস্ট্যাম্পের বাইরে বল পিচ করেছে। প্ৰথম রিভিউ এভাবেই নষ্ট হয়। একই কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ২৩ তম ওভারে। এবারেও আম্পায়ার ভারতীয়দের আবেদনে কর্ণপাত করেননি। তবে সিরাজ এবার আর কোহলিকে রিভিউ নিতে সেভাবে পীড়াপীড়ি করেননি। কোহলি রিভিউ নিতে চাইলেও ঋষভ পন্থ আবার বারবার রিভিউ না নিতে আর্জি করেন। লম্বা আলোচনা হয় মাঠের মধ্যেই। তবে পন্থের কথায় পাত্তা না নিয়ে কোহলি রিভিউয়ের পথে হাঁটতেই সমস্যা।
রিভিউয়ে স্পষ্ট দেখা যায় আউট নয়। পন্থ কার্যত অবাক হয়ে যান বারবার জানানো সত্ত্বেও কোহলি রিভিউ নেওয়ায়। কেন পন্থকে অবজ্ঞা করে কোহলি রিভিউ নিয়েছিলেন, সেই কারণ জানাতে গিয়ে গাভাসকার বলছিলেন, “কোহলির মাথায় হয়ত ঘুরপাক খাচ্ছিল, রুটকে শুরুতেই ফেরানো গেলে বাকিদের আউট করতে অসুবিধা হবে না।” প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত কেএল রাহুলের অনবদ্য শতরানে ভর করে স্কোরবোর্ডে ৩৬৪ তুলেছিল।
v
তবে কেএল রাহুলকে টপকে লর্ডস মাতালেন ইংরেজ অধিনায়ক জো রুট। রুট একাই ১৮০ করে দলকে প্রথম ইনিংসে ৩৯১ রানে পৌঁছে দিলেন।