“এটাই(বার্সেলোনা) আমার বাড়ি। আমি একদিন এখানে ফিরে আসবো বলে আমার সন্তানদের কথা দিয়েছি,” বার্সেলোনায় নিজের শেষ সংবাদ সম্মেলনে শহর ও ক্লাব সম্পর্কে বলেন লিওনেল মেসি।নিজের বক্তব্য শেষ করার পর মেসি কেঁদে ফেলেন, বেশ খানিকটা সময় পুরো সংবাদ সম্মেলনের জায়গাটায় ছিল নীরবতা। উপস্থিত সবাই লিওনেল মেসিকে সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে যান তখন। রোববার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় বার্সেলোনায় বিদায়ী প্রেস কনফারেন্স করেছেন লিওনেল মেসি।
ফুটবল অনুরাগীদের কাঁদিয়ে ন্যু ক্যাম্প থেকে শেষ বিদায় নিয়েছেন তিনি। তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে ক্লাব সংশ্লিষ্ট অনেকে উপস্থিত ছিলেন, ছিলেন ক্লাবটির সভাপতি হুয়ান লাপোর্তাও। মূলত লা লিগার নিয়মের সঙ্গে বার্সার মেসিকে রাখার ব্যাপারে সংঘর্ষ থাকায় ক্লাব ছাড়তে হলো মেসিকে। আর্থিক ঋণ থাকায় তাকে আর ধরে রাখা সম্ভব হয়নি বার্সার। না হলে যে ঋণটা আরও বাড়তো কাতালান ক্লাবটির।
ইউরোপিয়ান কমিশনে পাঠানো অভিযোগে বলা হয়েছে, মেসিকে কিনতে যাওয়া পিএসজিও একই সমস্যায় জর্জরিত। তা হলে এখানে কেন নিয়মের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না!
স্প্যানিশ দৈনিক মার্কার প্রতিবেদন বরাতে জানা গেছে, যে অর্থনৈতিক অবকাঠামোর দোহাই দিয়ে মেসিকে শৈশবের ক্লাব ছাড়তে হয়েছে, সেই অবস্থা পিএসজির অবস্থা আরও বাজে। শুধু তাই না, ফরাসি জায়ান্টদের অবস্থা খুবই খারাপ বলে দাবি করা হয়েছে অভিযোগে। বার্সেলোনার তুলনায় পিএসজির ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লের কন্ডিশন নাজুক। ২০১৯-২০ মৌসুমে পিএসজি তাদের আয়ের ৯৯ ভাগই খেলোয়াড়দের বেতনের পেছনে খরচ করেছে। সেখানে বার্সেলোনা খরচ করেছে ৫৪ শতাংশ।
মার্কার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অভিযোগের পর মেসির পিএসজিতে যাওয়া কিছুটা হলেও সমস্যায় পতিত হবে। কেননা, অর্থের ঝনঝনানি যতই থাকুক, পিএসজিকে দিতে হবে সার্জিও রামোস, জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও নেইমারদের বেতন। এর পেছনেই একটা বড় অংশ ব্যয় হবে ক্লাবের সভাপতি নাসের আল খেলাইফির। সেখানে মেসি গেলে সেই পরিমাণটা আরও বহুগুণে বাড়বে।