জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে লিটন দাস এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে মিলছে কিছুটা স্বস্তি। ১৩২ রানে ৬ উইকেট পতনের পর কিছুটা ভীতি সঞ্চার হয়েছিলো টাইগার শিবির। এমন দলের হয়ে ক্রিজে খুঁটি গাড়েন লিটন-মাহমুদউল্লাহ। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লিটন দাস।





এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। লিটন দাস ৫৬ এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২৩ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।





ম্যাচের প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সফররত বাংলাদেশ দলের। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই জিম্বাবুইয়ান পেসার মুজারাবানির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাদমান। আউট হওয়ার পূর্বে ব্যক্তিগত রানের খাতার কিছুই যোগ করতে পারেননি তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসা নাজমুল হাসান শান্তকেও সুবিধা করতে দেননি মুজারাবানি। তার বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন শান্ত। সাজঘরে ফেরান আগে তিনি করেন মাত্র ২ রান।





তৃতীয় উইকেটে জুটিতে চাপ সামলে দলের হাল ধরেন যাচ্ছেন সাদমান-মুমিনুল। এ সময় দুজন মিলে তুলেন ৬০ রান। ৬৪ বলে ২৩ রান করে আউট হন সাদমান। পরের উইকেটে মুশফিকুর রহিম নিয়ে আরো প্রতিরোধের চেষ্টা করেন মুমিনুল। কিন্তু অধৈর্য্য মুশফিক ফিরেছেন ব্যক্তিগত ১১ রান। আর টেস্টে ফিরে ব্যাট হাতে কিছুই করতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আউট হওয়ার আগে ৫ বলে করেছেন মাত্র ৩ রান।
এদিকে আপনতালে খেলতে থাকা দলীয় অধিনায়ক মুমিনুল হক ক্যারিয়ারের আরো একিট ফিফটি তুলে নেন। এরপর দেখে-শুনেই খেলছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত ৭০ রানে মেয়ার্সের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন মুমিনুল।





বাংলাদেশের একাদশ: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন কুমার দাশ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ ও ইবাদত হোসেন চৌধুরী।





জিম্বাবুয়ে একাদশ: রেগিস চাকাভা, ব্রেন্ডন টেলর (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), কাইয়া রয়, কাইতানো তাকুজওয়ানাসা, তিমিসেন মারুমা, ব্লেসিং মুজারবানি, মায়ার্স ডায়ন, রিচার্ড এনগারাভা, নিয়াচি ভিক্টর, সাম্বা মিলটন, ডোনাল্ড তিরিপানো।