বুধবার (৭ জুলাই) হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সফরের একমাত্র টেস্ট খেলতে মাঠে নামবে টাইগাররা। সবশেষ ১৬ মাস ধরে এই ফরম্যাটে জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। তাইতো গোটা দলের পাশাপাশি চাপে থাকার কথা টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকেরও। তবে মুমিনুল শোনালেন আশার বাণী। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ভালো করে টেস্টে জয়ের ধারায় ফিরতে চান তিনি।
মুমিনুল হকের নেতৃত্বে এখন পর্যন্ত আটটি টেস্টে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। এই আট ম্যাচে দলকে আহামরি কোন সাফল্য এনে দিতে পারেননি তিনি। তার অধীনে জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে একটি মাত্র টেস্ট জয় ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটিতে ড্র করেছে বাংলাদেশ।
দল জয়ের ধারায় নেই। এছাড়া দলে সাকিব,তামিম, মুশফিক, রিয়াদদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সামলাতে হয় মুমিনুলকে। তবে এত কিছুর পরও অধিনায়কত্বকে চাপ হিসেবে দেখেন না মুমিনুল। তিনি বরং দেশের অধিনায়ক হওয়াকে সম্মানের চোখে দেখতেই পছন্দ করেন।
মুমিনুল বলেন, ‘ওরকম চাপ আসলে নেই। আপনি যখন একটি দেশের অধিনায়ক তখন চাপ না দেখে সম্মান হিসেবে দেখা উচিৎ। একটু চাপ থাকেই, স্বাভাবিক, একটু চাপ তো নিতেই হবে। ইতিবাচকভাবে নেওয়াই ভালো। তাই আমি চাপ না নিয়ে উপভোগ করার চেষ্টা করি। দল হিসেবে খেলার চেষ্টা করব, সবার কাছে এটাই প্রত্যাশা।’
এমনিতেই টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখনও সেভাবে থিতু হতে পারেনি। এছাড়া বর্তমান বিশ্ব ক্রিকেটের বাস্তবতায় ঘরের বাইরে খেলা মানে বাড়তি পরীক্ষা দিতে হয় সব দলকেই। এদিকে ২০১৩ সালের পর প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ে সফরে গেছে টাইগাররা।
৮ বছর আগের ঐ সফর টাইগারদের জন্য মোটেই সুখকর ছিল না। সিরিজের প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৩৫ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল বাংলাদেশ। এছাড়া টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ড্র করলেও ওয়ানডে সিরিজে হেরেছিল টাইগাররা। তবে এবার দলগত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে প্রথম টেস্টে জয় তুলে নিতে চান মুুমিনুল।
তিনি জানান, ‘শুধু জিম্বাবুয়ে না যে কোন দলের সঙ্গেই যখন অ্যাওয়েতে খেলবো তখন ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন দিকটাই ভালো করতে হয়, ফোকাস রাখতে হয়। সেই সাথে টিম ওয়ার্কটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এদিকটায় ভাল করলে আশা করি টেস্ট ম্যাচটা জিততে পারবো।’